উৎপাদন খরচ ও লাভ সমন্বয় করে ধান-চালের দাম নির্ধারণ করা হবে -সিরাজগঞ্জে খাদ্য উপদেষ্টা
প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উৎপাদন খরচের সাথে কৃষকের লাভ সমন্বয় করে ধান-চালের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।
শনিবার চলতি মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন নিয়ে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজে আট জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, 'দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়। এই ধান চাল সরকার ওএমএস ও ভিজিডির মাধ্যমে বিতরণ করে বাজারে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল রাখেন।'
কৃষকদের প্রণোদনার বিষয়ে বলেন, 'কৃষকরা বেশির ভাগ ধান বাইরে বিক্রি করে থাকেন।অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উৎপাদন খরচের সাথে কৃষকের লাভ সমন্বয় করে ধান-চালের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।
শনিবার চলতি মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন নিয়ে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজে আট জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, 'দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ধান-চাল সংগ্রহ করা হয়। এই ধান চাল সরকার ওএমএস ও ভিজিডির মাধ্যমে বিতরণ করে বাজারে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল রাখেন।'
কৃষকদের প্রণোদনার বিষয়ে বলেন, 'কৃষকরা বেশির ভাগ ধান বাইরে বিক্রি করে থাকেন। তারা স্বল্প পরিমান ধান-চাল দিয়ে সরকারকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করে থাকেন। আর সরকারও এমনভাবে দাম নির্ধারণ করেন যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এজন্য চলতি বছরে প্রণোদনার কোন ব্যবস্থা নেই। আগামীতে বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাববে।'
তিনি বলেন, 'মতবিনিময় সভায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আশা করছি কৃষকরা সরকারের কাছে ধান-চাল বিক্রি করে সরকারকে সহায়তা করবে।'
চলনবিল অঞ্চলে ব্যাপক হারে পুকুর খনন করায় ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ দেশের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চল। কিন্তু অনেকে জমির শ্রেণির পরিবর্তন করে পুকুর খনন করছে, আবার কেউ নিয়মের তোয়াক্কা না করে খনন করছেন।'
তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের জমির শ্রেণি পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখাসহ প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় উচ্চফলনশীল জাতের ফসল ফলিয়ে খাদ্যের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রাজশাহী বিভাগী কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা অংশ নেন।