কৃষি ঋণ-বিতরণে ৬.৮% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অথর্বছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নিধার্রণ করেছে, যা গত অথর্বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এই ঋণের ৬০ শতাংশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে শস্যখাতে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পাবে অন্তত ১০ শতাংশ। বাকি অথর্ কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ, টাকির্ পালন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করা হবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮-১৯ অথর্বছরের কৃষি ও পল্লীঋণ কাযর্ক্রম ও নীতিমালা ঘোষণা করে ডেপুটি গভনর্র এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখেই এই লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা। গত ২০১৭-১৮ অথর্বছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কৃষি খাতে বিতরণের জন্য এবার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তার মধ্যে ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ। ব্যাংকগুলোর নিধাির্রত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোডর্ ৯৬১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা। ডেপুটি গভনর্র বলেন, “জুলাই থেকে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ হওয়ার কথা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রেও একই হার বিদ্যমান থাকবে।” কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অথর্বছর কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু বিতরণ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি, ২১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। মোট ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনকে ওই ঋণ দেয়া হয়েছে। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।