ভারতের চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল জাহাজ

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
ভারত থেকে আমদানি করা ২৪ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজের চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষার পর নিয়মিত প্রক্রিয়া শেষে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জাহাজটিকে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে (জেসিবি) এর ১১ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। বিষয়টি চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রক জ্ঞান প্রিয় বিদূর্শী চাকমা নিশ্চিত করেছেন। জ্ঞান প্রিয় বিদূর্ষী চাকমা জানান, ভারত থেকে ২৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল ১৮ ডিসেম্বর আসার কথা ছিল। পরে ২০ ডিসেম্বর সময় নির্ধারণ করা হয়। এরপর পিছিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে আসে চালের জাহাজ। শুধু এই চালান নয়, পর্যায়ক্রমে সরকারিভাবে আমদানি করা চালের আরও চালান আসবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ পরিস্থিতিতে মজুত বাড়ানো এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেয় সরকার। বেসরকারি পর্যায়ে আমাদানিকারকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারিভাবেও চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। জানা যায়, দেশের চাহিদা মেটাতে কিছুদিনের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। আর ভিয়েতনামের চালগুলোও ভারত থেকে সরবরাহ করা হবে। মিয়ানমার থেকে আসছে ১ লাখ টন চাল। এসব চাল দেশে পৌঁছলে বাজারে ইতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এছাড়া পাকিস্তান থেকেও ১ লাখ টন চাল আমদানির কথাবার্তা হচ্ছে। জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে এ চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৪৫৬ দশমিক ৬৭ ইউএস ডলার হিসাবে এ চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। তথ্যমতে, সরকারি গুদামে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯২ টন চাল, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৬ টন গম এবং ৪ হাজার ৪২০ টন ধান মিলে সর্বমোট ১১ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৬ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। যা সরকারি গুদামের মজুদ। এর বাইরে চালের মকাম, দোকান, মানুষের বাসাবাড়িতে প্রচুর চালের মজুদ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।