চট্টগ্রামে শাকের দামে মিলছে সবজি
প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
মাছের বাজারে যেন আগুন জ্বলছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে সব ধরনের মাছ। অন্যদিকে শাকের দামের সমান দামেই মিলছে বেশ কিছু সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ অন্তত ৭টি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার মধ্যে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতিকেজি রুই ও কাতলা ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পোয়া ৩০০ থেকে ৩৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
আতুরার ডিপোর বাজারে মাছ কিনতে আসা খোরশেদ বলেন, এখন মাছের বাজারে ডুকলে মনে হয় আগুন জ্বলছে। কোন মাছ এখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালে নাই। এমনকি কমদামি পাঙ্গাশও এখন দামি মাছ হয়ে গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাতা, ফুলকপি, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিপিস লাউ ৩০, মুলা ২০ এবং বাঁধাকপি মিলছে কেজি ২৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির মধ্যে শিম ও খিরা ৪০ টাকা, টমেটো ও বেগুন ৫০ টাকা, বরবটি, গাজর ও ঢেঁড়স ৬০ টাকা এবং শিমের বিচি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, শালগম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, চাল কুমড়া ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি, সিম ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম অন্তত ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। শীতকালীন নতুন আলু প্রতিকেজি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু, মুন্সিগঞ্জের আলুও দাম কমে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে সবজি কিনতে আসা মারজুক আহমেদ বলেন, আগে দু'শ টাকায় দুই কেজি সবজিও পাওয়া যেত না। এখন শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দাম অনেক কমেছে, শাক আর-সবজির দাম কাছাকাছি হয়ে গেছে।
অন্যদিকে আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৮৫ টাকা। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা দরে। আর কক মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা প্রতি কেজি। আর রাজহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। দেশি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা প্রতি পিস।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরু ৭৩০ থেকে ৯৩০ এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানে প্যাকেটের চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আটার দুই কেজি প্যাকেট ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা এবং নতুন ভারতীয় আদা ১৪০ দরে বিক্রি হয়েছে।
চালের দাম বেড়ে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাটারি ৮২, জিরাশাইল ৭৬-৭৮, নাজিরশাইল ৮০, মিনিকেট আতপ ৬৮, মিনিকেট সেদ্ধ ৬২-৬৬, স্বর্ণা ৫৭। এবং ৫০ কেজির বস্তা কিনলে কাটারি ৪০০০, জিরাশাইল ৩৮২০, নাজিরশাইল ৪০০০, মিনিকেট আতপ ৩৪০০, মিনিকেট সেদ্ধ ৩০৫০-৩৪০০, স্বর্ণা ২৮৫০ দামে বিক্রি হচ্ছে।