বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সোমবার নীলফামারী সদর উপজেলার দুবাছরী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে রামগঞ্জ ট্র্যাজিডির শিকার বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নবনির্মিত বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন -যাযাদি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবার এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান বলেছেন বিচারবহির্ভূত সব গুম, খুন ও হত্যার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হতে হবে। পালিয়ে গিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমরা আর চাই না গোলাম রব্বানীর মতো কেউ মৃতু্যবরণ করুক।
সোমবার বিকালে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্ণীচাপ ইউনিয়নের দুবাছরী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে রামগঞ্জ ট্র্যাজিডির শিকার বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নবনির্মিত বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি পরিবার আহ্বায়ক আতিকুল রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, রংপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিলস্নাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপি সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম প্রমুখ।
তারেক রহমান বলেন, 'স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে তার দোসররা এখন দেশের আনাচে-কানাচে রয়ে গেছে। তারা দেশের ভেতরে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, বেকার সমস্যা ও কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিভিন্ন দলের ভিতরে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও সামনে এখন বড় যুদ্ধ। যে অধিকার আদায়ে রব্বানীদের মতো হাজার হাজার রব্বানী জীবন দিয়েছেন, তাদের সেই অধিকার আদায়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার ১২ শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছয় লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পিতা হত্যার বিচার চেয়ে গোলাম রব্বানীর কন্যা সুমি কান্নাজড়িত বক্তব্য হাজার হাজার মানুষকে আবেগআপস্নুত করে তোলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভোরে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ঠুনঠুনিয়া গ্রামে মামা আলী হোসেন ও মিয়া হোসেনের বাড়ি থেকে রব্বানীকে তুলে নিয়ে যায়র্ যাব। এর কিছুদিন পর ১৮ জানুয়ারি সকাল ৭টায় নীলফামারীর পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে আরাজি গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গোলাম রব্বানী নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্ণীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।