উদ্বোধন আগামীকাল

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

মকবুল হোসেন, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
পূর্বাচল উপশহরের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে টানা চতুর্থবারের মতো পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ আয়োজনে আগামীকাল বুধবার সকলে মেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। উদ্বোধনকে ঘিরে দোকান মালিকদের কাছে প্যাভিলিয়ন ও স্টল বুঝিয়ে দিতে দিনে-রাতে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন মিস্ত্রীরা। স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির ঠুক্‌ ঠাক্‌ শব্দে কোলাহল পূর্ণ হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। এদিকে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণে কেউ কেউ রং পালিশ করার কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানায় শ্রমিকরা। এবারের মেলায় জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আদলে সাজানো হচ্ছে মেলার প্রধান ফটক। ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে মেলা প্রাঙ্গণে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণার ও মীর মুগ্ধ নামে দুটি কর্নারও থাকবে। মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলের বরাদ্দ রয়েছে। এবারও মেলায় ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। বিদেশি ব্যবসায়ীরা ১৫টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবেন। মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে ১০০টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ১৫টি, জেনারেল স্টল, ফুডকোর্ট, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল প্রায় ১৭০টি এবং ইউটিলিটি বুথ রাখা হয়েছে ৩০টি। এছাড়া মেলায় তিনটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরমধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং ট্যাক্স ভ্যাটের সংরক্ষণের জন্য সোনালী ব্যাংকের একটি বুথ থাকছে। এতে করে রাজস্ব আদায় ভালো হবে। ইসলামী ব্যাংকসহ তিনটি ব্যাংকের বুথ স্থাপন হয়েছে। পাশাপাশি হলের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৫০০ মানুষ বসে খাবার খেতে পারবেন। এছাড়া মূল প্যাভিলিয়নের বাইরে খোলা স্থানে আরও ১২-১৫টি ফুড স্টল থাকছে। এ বছর মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে জানিয়ে ইপিবির সহকারী পরিচালক ও বাণিজ্য মেলার সহকারী পরিচালক আবু হাসান তিনি বলেন, 'এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ই-টিকেটিং হলে দর্শনার্থীরা মোবাইলে কিউআর কোড দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। এবং সেই সঙ্গে গত বছরের মতো এ বছরও মেলায় প্রবেশ মূল্য থাকবে- প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য এবারও স্পেশাল বিআরটিসির দ্বিতল ও ডাবল ডেকার বাস থাকছে। কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে ১৪ কিলোমিটার সড়কে ভাড়া থাকছে ৩৫ টাকা। এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রতিদিন গাড়ি চলাচল করবে। শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া নদীপথে ট্রলারযোগে মেলায় আসার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। ২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিরাপত্তার জন্য বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে মেলায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।