চট্টগ্রামে একমাস পর কমেছে মুরগির দাম

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রাম নগরে প্রায় একমাস পর ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে সামুদ্রিক মাছের দামও পড়তির দিকে। এছাড়া কাঁচাবাজারেরও একই চিত্র। অল্প টাকাতেই মিলছে ব্যাগভর্তি সবজি। অপরিবর্তিত আছে প্রায় সব সবজির দাম। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহে ৫০ টাকার মধ্যেই মিলছে অধিকাংশ সবজি। শুক্রবার নগরের অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এর দর ছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। তবে অন্যান্য মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে সামুদ্রিক মাছের দাম কেজিপ্রতি অন্তত ৫-১০ টাকা কমেছে। রিয়াজুদ্দিন বাজারে লইট্যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সবজির মধ্যে ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ২০, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া ৩০, মুলা ২০, খিরা ও গাজর ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ, টমেটো, শিম ও বেগুন ৫০ টাকা, আলু ৪০-৬০, শিমের বিচি ১২০, বরবটি ও করলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে, লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ২৫ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরু ও মহিষ কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ, রসুনের দামও। ৬৫-৭০ টাকা পেঁয়াজ ও ২০০-২২০ টাকা কেজিতে রসুন বিক্রি হয়েছে। চালের মধ্যে প্রতি কেজি পাইজাম আতপ ৭৫ টাকা, কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ৭০ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, জিরাশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মুদি দোকানে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্রতিলিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতিলিটার ২৪০ টাকা ও বোতলের তেল ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নগরের আতুরার ডিপো কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী পারভেজ উদ্দিন বলেন, সবজির দাম কম আছে দেখে স্বস্তি পাচ্ছি। সরবরাহ সবসময় যেন এরকম স্বাভাবিক রাখা যায় সেটা দেখতে হবে। শীতকালীন সবজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে অন্যান্য সময়ও ভালো সরবরাহ পাওয়া যাবে হয়তো।