শ্রমিক মারধরের জের ফতুলস্নায় দু'টি পোশাক কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্নায় শ্রমিক মারধরের জেরে দুটি পোশাক কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফতুলস্নার শাসনগাঁও এলাকার মাদার কলার ও আরএস গার্মেন্টস কারখানায় এ হামলাসহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার মাদার কালার গার্মেন্টে এক শ্রমিককে মারধরের জের ধরে রোববার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লোহার পাইপ, লাঠি-সোঠা সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাশের আর এস নামক একটি কারখানার শ্রমিকদের নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আর এস এর শ্রমিকরা তাদের ডাকে সাড়া না দেয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা কারখানা দুটিতে হামলা চালান। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে মাদার কলার গার্মেন্টস কারখানার জানালার কাচসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে ফতুলস্না থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি এসে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া দেয়। দুপুরের পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার পর মাদার কালার গার্মেন্টসের গেটে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে কারখানা খোলা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট এডমিন ম্যানেজার শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ বিনা কারণে মালিকপক্ষ একজন শ্রমিককে মারধর করে। শ্রমিককে মারধরের বিচার চাইতে গেলে উল্টো হুমকি ধামকি দেয়। যার কারনে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামের।
শিল্প পুলিশের এসপি আসাদুজ্জামান জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বেস্ট স্টাইলিস্ট মাদার কালার সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটির ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরপরই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গার্মেন্টস কারখানা আশপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফতুলস্না মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই মাদার কালারে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রোববার সেই উত্তেজনা পাশের আরও একটি গার্মেন্টসে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।