১০ বছরের কারাদন্ড থেকে খালাস পেলেন মামুন

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অস্ত্র আইনে ১৮ বছর আগে করা একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদন্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বিচারিক আদালতের দেওয়া সশ্রম ওই কারাদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেন। এ নিয়ে দন্ড হওয়া পৃথক পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এর আগে ওই মামলায় ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রায় দেন ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইবু্যনাল-২। রায়ে মামুনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং জব্দ করা অস্ত্র ও গুলি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে সোমবার রায় দেন আদালত। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। রায়ের পর আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে থাকা ২২টি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলায় তার দন্ড হয়। সোমবারের মামলাটিসহ চারটি মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস পেলেন। অন্য একটিতে দন্ড রয়েছে। এসব মামলায় জামিন লাভের পর গত ৬ আগস্ট মামুন কারামুক্তি পেয়েছেন। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই মামলা করে পুলিশ। মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ডিওএইচএস বনানীর বাসায় ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার তৎকালীন ওসির নেতৃত্বে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তলস্নাশির সময় তাঁর শয়নকক্ষে সোফার গদির নিচ থেকে একটি পিস্তল ম্যাগাজিনসহ পলিথিনে মোড়ানো ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনতলার শয়নকক্ষ থেকে সেদিন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।