বিশ্ব ইজতেমা

নিরাপত্তার স্বার্থেই দুই পর্বের মাঝে সময় বাড়ানো হয়েছে -আইজিপি

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, প্রথম পর্বের মুসুলস্নীরা ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার পর পুরো বিশ্ব ইজতেমা এলাকা তারা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর যখন বুঝবেন কোনো ধরনের সমস্যার আশঙ্কতা নেই, তখন দ্বিতীয় পর্বের সা'দ অনুসারীদের ময়দানে আসার আমন্ত্রণ জানাবেন। এ জন্যই এবার ইজতেমার দুই পর্বের মাঝে সমংয় বাড়ানো হয়েছে। সবার মতামত নিয়েই এটা করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, 'বিশ্ব ইজতেমায় পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ময়দান এলাকায়র্ যাবের হেলিকপ্টার টহল ছাড়াও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। আমরা আশা করি, ইজতেমায় কোনো অঘটন ঘটবে না। মাওলানা মাহফুজও জানিয়েছেন তাদের ১০ হাজার ভলান্টিয়ার। তারা নেতৃত্ব দেবেন, তাদের ঈমানী দায়িত্বে। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। রাষ্ট্রের বাহিনী হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আছে। আগের চেয়ে বর্তমানের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি সুদৃঢ় এবংর্ যাবের নিরপত্তা ব্যবস্থাও আরো সুদৃঢ় হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমরা যে কোন ধরনের নাশকতার তৎপরতা আপনাদের সহযোগিতায় মোকাবিলা করতে পারব।' নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, '৫টি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।র্ যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন, সড়ক জনপথ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাৎলর সঙ্গে সমন্বয় সভা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।' পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, 'ড্রোনের মাধ্যমে আমরা পুরো এলাকা মনিটর করব যেন কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকোলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখবো, ১৫টি সাব কন্ট্রোল কক্ষ থাকবে, সকলের সুবিধামতো সাব কন্ট্রোল কক্ষে রিপোর্ট করলে দ্রম্নত ব্যবস্থা নিতে পারব, পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে, ৩৫টি রুফটফ থাকবে, স্থির ব্রিগেট থাকবে ৫৩টি, ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষনিক ডিউটি থাকবে, ২০টি চেকপোস্ট থাকবে তাদের কাজ হবে যেন দুষ্কৃতিকারী প্রবেশ করতে না পারে, ফুটপাত উচ্ছেদ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে, ট্রাফিক ব্যবস্থা সুন্দর হওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক এ সড়ক দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর আখেরি মোনাজাতের দিন কোনো যানবাহন চলতে দেবো না ইজতেমা এলাকায়। সাদা পোশাকে অসংখ্য নিরাপত্তা বাহিনী রেখেছি।' সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, 'আপনারা এসেছেন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সমস্ত দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ফিডব্যাক পাই। ইজতেমা মাঠে কিছুদিন আগে যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে যেসব মুসুলস্নীরা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে দ্বীন এবং দুনিয়ার কামিয়াব হাসিলের জন্য ইজতেমায় আসেন।' মাওলানা মাহফুজ (জুবায়ের অনুসারী) জানান, তাদের ইজতেমার কার্যক্রম ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত চলবে। সাদ অনুসারীরা ১৪ থেকে ১৬ পর্যন্ত করবেন। এর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারা উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবেই ইজতেমা পালন করবেন।