ডা. শফিকুর রহমান

শোষণহীন ও বৈষম্যহীন দেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলন মঞ্চে উপবিষ্ট দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অতিথিরা -ফোকাস বাংলা
আমরা একটি মানবিক, শোষণহীন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জামায়াতে ইসলাম ক্ষমতায় গেলে নারীরা আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা এখন যা পাচ্ছেন তার চাইতে আরো দুটি বেশি সুবিধা পাবেন। তা হলো সম্মান ও নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার বিকালে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস ময়দানে জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমাদের দলের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে এক এক করে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও নির্যাতন করে তাদের ঘরছাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই পরিবেশ নেই। ১৯৯৬ সালে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় ২ জন নেতা মন্ত্রী ছিলেন। তারা কখনো দুর্নীতি করেন নাই। তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ কোন দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ দিতে পারেন নাই। আমরা নির্বাচিত হলে আপনাদের শাসক নই আমরা আপনাদের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নেবো। আমরা চৌকিদার হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করবো।' জামায়াত আমির বলেন, 'বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমাদের দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নষ্ট করে দিয়েছিল। ভোটের অধিকার খর্ব করে দিয়েছিল। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা 'আমি আর ডামি' এই দুইটাকে নিয়ে ভোট করেছেন। এখন সময় এসেছে তাদের বয়কট করার। তারা যদি আলস্নাহকে ভয় করতেন তাহলে তারা জনগনকে বোকা মনে করতেন না। আমরা নির্বাচিত হলে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা কিছুই পাহারা দিতে হবে না। আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করবো যাতে আলস্নাহকে ভয় করবে। তাহলেই সমাজ থেকে দুর্নীতি ও দুঃশাসন দুর হবে।' ডা. শফিকুর রহমান বলেন, '১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে গণহত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গণহত্যার বিচার করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গণহত্যার বিচার করতে পারলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। যেন তেন ভাবে ক্ষমতায় বসার জন্য তারা জীবন দেয় নাই। দুঃশাসনমুক্ত দেশ গড়তে হলে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে এই সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'প্রতিটি খুন, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ঘুষের বিচার হতে হবে। তা না হলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না। আমাদের ছাত্ররা রক্ত দিয়ে এই দেশকে মুক্ত করেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আছি। আমরা তরুণদের হাতে দেশ তুলে দিতে চাই।' তিনি এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের আরামনগর জেলা কার্যালয়ে মরহুম আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে জেলার মহিলা জামায়াত নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলা শাখার আমীর ডা. ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারী গোলাম কিবরিয়া, সহকারী সেক্রেটারী প্রচার ও মিডিয়া সেল সম্পাদক হাসিবুল আলম লিটন প্রমুখ।