তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে প্রায়ই ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ নানা ধরনের সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন পর পর রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র সায়েন্স ল্যাব ও নিউমার্কেট এলাকার এই তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের তান্ডবে সেখানকার ব্যবসাবাণিজ্য লাটে উঠছে। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের শিকার হয়ে বন্ধ হচ্ছে পরিবহণ চলাচল। যার ভোগান্তি সাধারণ মানুষকে দিনভর পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, সংঘর্ষের কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই তিন কলেজের শিক্ষকরাও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পাশাপাশি ক্ষুণ্ন হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘদিনের ইমেজ। ফলে, অনেক অভিভাবকই এখন এ কলেজগুলোতে সন্তানদের ভর্তি করাতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। মেধাবী ও নিরীহ শিক্ষার্থীরাও এই তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর ধরে স্স্নেজিং, কথাকাটাকাটি ও কটূক্তির মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কখনো দ্বিমুখী, আবার কখনো ত্রিমুখী সংঘর্ষ হচ্ছে। কখনো আবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি হকার্স ও নিউমার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে আহত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী, পথচারী, পরিবহণযাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাজধানীবাসীকে যানজটের পাশাপাশি নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সর্বশেষ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিকাল সোয়া ৪টার পর থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার সকাল থেকে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল ৪টার পর এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় সিটি কলেজের মূল ফটকের সামনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। সিটি কলেজের মূল ফটক ভাঙার চেষ্টা করে কেউ কেউ।
এর আগে, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। হঠাৎ করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে কলেজের ভেতরে ঢুকে মূল ফটক বন্ধ করে দেয়।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আবু জাফর বলেন, সকালে ঢাকা সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথাকাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। দুপুরের পর সমস্যার সমাধানের জন্য আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা সিটি কলেজের সামনে যায়। সেখানে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সমঝোতায় পৌঁছায়, কোনো কলেজই আর মারামারি বা সংঘর্ষে জড়াবে না। সমঝোতার কথা চলার সময় আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর দুই কলেজের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের তিন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। আহতরা আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ- এই তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ যেন প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। সায়েন্স ল্যাব ও নিউমার্কেট এলাকা যেন এক অজানা যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এই দ্বিমুখী বা ত্রিমুখী সংঘর্ষের ধ্বংসযজ্ঞে কখনো সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজ, কখনো আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজ আবার কখনো সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংস পরিস্থিতি প্রায়ই কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই মারামারির সূত্রপাত প্রায়ই হয় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে। এ ঘটনায় রাজনৈতিক কোনো তৎপরতার স্পষ্ট কোনো ছাপ দেখা যায় না। বরং, সেসব বিষয়ই হয়ে ওঠে উত্তেজনার মূল কারণ, যেখানে সামান্য তর্ক বা একে অপরের প্রতি ক্ষুদ্র তিক্ততার মতো সামান্য বিষয়গুলোই হয়ে ওঠে অগ্নিশিখা। কখনো কথার ভুল বোঝাবুঝি, কখনো অবহেলা, কখনো বা অহংকার- এসব ছোটখাটো ঘটনা যেন ক্রমেই একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করে এক
অদৃশ্য বিভেদ- যা মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হয় বড় সংঘর্ষে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই তিন কলেজের দ্বন্দ্বের শুরুটা কোথায়, তা কেউ জানে না। তবে, অনেকের মতে, কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের মাইন্ড সেটআপ করে দেওয়া হয়েছে যে, নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মারামারিতে জড়াতে হবে এবং জিততে হবে। বর্তমান শিক্ষার্থীরা সাবেকদের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়ে আসছেন।
তিন কলেজে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় মূলত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের বেশিরভাগের বয়স থাকে ১৮ বছরের নিচে। তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা বারবার সংঘর্ষে জড়ালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ যেমন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয় না, নীরব থাকে। এজন্য কয়েক বছরে এই সংঘর্ষের ঘটনা প্রায় অনেকবার সংঘটিত হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল নিউমার্কেটে ইফতারির পণ্য বিক্রির টেবিল বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর এ ঘটনায় রাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ডেকে আনে। শিক্ষার্থীরা প্রতিপক্ষ দোকানিদের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে- যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় অন্য দোকানের ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের পাল্টা মারধর করে। এর কিছুক্ষণ বাদেই আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেটের দোকান ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষ রাতে সেহেরির আগ পর্যন্ত চলে। পরদিন ১৯ এপ্রিল দিনব্যাপী পুনরায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পুলিশ আহত হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের বৈঠকে সমঝোতার মাধ্যমে এই সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে।
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, এ মার্কেটে দোকান আছে পাঁচশ'র মতো। আর নিউমার্কেট ঘিরে ফুটপাতে দোকান আছে অন্তত পাঁচ হাজার। এর সঙ্গে জড়িত আশপাশের বিশটির মতো মার্কেট ঘিরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আরও অন্তত ১০ হাজার হকার। একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলেন। এখানে যেসব সংঘর্ষ বা মারামারি হয় মাঝে মধ্যে এর মূল কারণ কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অসহিষ্ণুতা।
ব্যবসায়ী নেতাদের ভাষ্য, স্টুডেন্ট সেন্টিমেন্ট অনেক সময় আবেগ থেকে দাবির পর্যায়ে চলে যায়। দামাদামি থেকে মাঝেমধ্যে বচসা হয়। এটা থেকেই সূত্রপাত হয়। নিউমার্কেটে চাঁদাবাজি হয় না। কিন্তু আশপাশের ফুটপাতগুলো ঘিরে নীরব বা সরব চাঁদাবাজি ওপেন সিক্রেট- যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এদিকে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রায়ই কেন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তা জানতে চাইলে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক সময় ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে গিয়ে হামলা করে- যার জের ধরে সংঘর্ষ হয় দোকান কর্মীদের মধ্যে। যা পরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাস ও লেগুনা ভাঙচুর করা হয়। জানা যায়, সিটি কলেজের সামনে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে মারধর করেন সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ওই শিক্ষার্থীকে সিটি কলেজে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের দিকে এগিয়ে যায়। এর মধ্যে সিটি কলেজের সামনে, সায়েন্স ল্যাব এলাকা এবং ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি লেগুনা ও বাসে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৮ জন আহত হন। যার মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। জানা যায়, ঢাকা কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষ করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজয় চত্বরের নাঈমের গলি গেটের সামনে পৌঁছালে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়।
তাদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছেন। তারা বলেন, সকালে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কে বা কারা মারধর করেছে। এই কারণে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মনে করেছে, ঢাকা কলেজের ছাত্ররা তাদের মারধর করেছে। এমন অভিযোগে তারা ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়।
২০২৩ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে 'মুরগি' বলায় রাজধানীর সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নটর ডেম কলেজের একজন শিক্ষার্থীসহ মোট চারজন আহত হন। এ ঘটনায় উভয় কলেজের ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সংঘর্ষের সূত্রপাত হিসেবে জানা যায়, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের ফটকে গিয়ে 'তোরা মুরগি, সাহস থাকলে বের হ' বলে চিৎকার করেন। এরপরই ২ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এরপর মার্চে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। ঘটনাটিতে প্রায় তিন ঘণ্টা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও গ্রিন রোড এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ঢাকা কলেজের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এ প্রসঙ্গে বলেন, পূর্বের কোনো শত্রম্নতা ছাড়াই সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটছে। এটা শিক্ষার্থীদের মাইন্ড সেটআপ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে এটা কমাতে গেলে শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
একই কলেজের অপর এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, এ ধরনের সংঘর্ষ কলেজের শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ও সম্মানের অভাব থেকে ঘটছে। সাধারণত খুব ছোট ছোট ব্যক্তিকেন্দ্রিক তুচ্ছ ঘটনা থেকে সংঘর্ষ বাধে এবং একে অপরের ওপর আধিপত্য বিস্তার লাভের জন্য করে থাকে।