ম্যাটস শিক্ষার্থীরা রোববার লংমার্চ নিয়ে রওনা হলে শিক্ষাভবনের সামনে লাঠিচার্জ করে পুলিশ -ফোকাস বাংলা
চার দফা দাবিতে লংমার্চ নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হওয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। রোববার বিকালে শিক্ষাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে। পুলিশের তাড়া খেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের দিকে চলে যান।
সিরাজগঞ্জ সরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থী এবং ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সমন্বয়ক আহসান হাবিব বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বলেন, 'আমাদের খুব ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করেছে।'
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগের সড়ক অবস্থান নেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সাড়ে ১১টার দিকে তারা অবস্থান নেন শাহবাগ মোড়েই অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়।
সেখান থেকে বিকালে লংমার্চ শুরু করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। তবে লংমার্চ শুরুর আগে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের
সঙ্গে কথা বলতে শাহবাগে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি।
তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উলস্নাহ মানসুর ও শামীম মিঞাকে নিয়ে সচিবালয়ে যান।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসিবুল ইসলাম শান্ত বলেন, 'আমরা সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন কাল-পরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। দেখা যাক কী হয়।' কিন্তু কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যেই শিক্ষাভবনে লাঠিচার্জের খবর আসে।
দেশে ১৬টি সরকারি এবং ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপেস্নামা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। এরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।