সচিবালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার চাকরিচু্যত পুলিশ সদস্যদের ছত্রভঙ্গে লাঠিপেটা করে পুলিশ -ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে নানা অভিযোগে চাকরিচু্যত পুলিশ সদস্যদের ছত্রভঙ্গে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থানের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের প্রেস ক্লাবে ফিরিয়ে দেয়? এ ঘটনার পর সচিবালয়ের দক্ষিণ গেটে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক কায়সার বলেন, 'বিগত সরকারের সময় চাকরি হারানো পুলিশের বেশকিছু কনস্টেবল তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালার গেটের সামনে এসেছিল। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
চাকরি হারানো পুলিশ সদস্য ইমরানকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে বিগত সরকারের আমলে তাদের চাকরিচু্যত করা হয়েছে। আমরা এই সরকারের কাছে চাকরিতে পুনঃবহালের দাবি জানিয়ে আসছি। আজকে (বৃহস্পতিবার) আমাদের কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা জানি না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য জানান, ইমরান ছাড়াও নাজিম ও মাইনুদ্দিন
নামে আরো দুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পিটুনির শিকার তরিকুল ইসলাম বলেন, 'অতর্কিত হামলা করা হয়েছে আমাদের উপর। আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে আমি দৌড়ে চলে আসছি।'
আন্দোলনকারী মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য। ১০ জনকে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। কয়েকজনকে ধরেও নিয়েছে। আমরা এ হামলার সুষ্ঠু সমাধান চাই।'
এদিকে, দুপুর সোয়া ১টার দিকে হট্টগোলের মধ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এক তরুণকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় একদল পুলিশকে। আন্দোলনকারী ওই তরুণের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সরকার বদলের পরপরই গেল বছরের ১৮ অগাস্ট চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিগত ১৫ বছরে চাকরিচু্যত পুলিশ সদস্যরা।
তাদের ভাষ্য, সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটির জন্য তর্ক করাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচু্যত করা হয়েছে হাজারো পুলিশ সদস্যকে।
নির্বাহী আদেশে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন তারা। পরে আইজিপির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারো পথে নামেন বিভিন্ন পদের চাকরিচু্যত পুলিশ সদস্যরা।