চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও থানা ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটি চলতি মাসেই

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

খোরশেদুল আলম শামীম, চট্টগ্রাম
তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী ও নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে ঘোষণা করা হবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কমিটি। ইতোমধ্যে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে মহানগর বিএনপি ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মশালা ও প্রতিনিধি সভা করে যাচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি এসব সভা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডের সভা সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ওয়ার্ডের সভা ১৫ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে শেষ হবে জানিয়েছে নগর বিএনপি। বিএনপি সূত্র জানায়, মহানগর বিএনপির আওতাধীন নগরে ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড রয়েছে। ২০২৪ সালের ৭ জুলাই আলহাজ এরশাদ উলস্নাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর প্রায় চার মাস পর গত ৪ নভেম্বর ৫৩ সদস্যে উন্নীত করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। এ অবস্থায় গত ৩ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ভেঙে দেয় নগরের ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ বিএনপির কমিটি। ওই সময় বলা হয়েছিল আগামী ১০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির আকার হবে ৪১ থেকে ৫০ সদস্যের। দলের 'আন্দোলন-সংগ্রামে' অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদা আছে এমন ব্যক্তিরাই প্রাধান্য পাবেন আহ্বায়ক কমিটির শীর্ষ পদে। এ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দুই মাসের মধ্যে কাউন্সিল করা হবে থানা ও ওয়ার্ডে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক এরশাদ উলস্নাহ জানান, তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী ও নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও সুসংগঠিত করার জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ডের বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিলুপ্ত ঘোষিত থানা ও ওয়ার্ড কমিটির কাজ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। বিগত সময়ে রাজপথে অবস্থান নিয়ে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা সক্রিয় ছিলেন, যারা যোগ্য, পরীক্ষিত এবং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারাই থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতৃত্বে আসবেন। কীভাবে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পরিচালনা করা যায় সে ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিনিয়র নেতাদেরও মতামত নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক এরশাদ উলস্নাহ আরও জানান, দলের যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য তৃণমূল থেকে সদস্য সংগ্রহ করা হবে। তাদের মধ্য থেকে গঠন করা হবে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি। এরপর অনুষ্ঠিত হবে নগর কমিটির সম্মেলন। দলকে পরিপূর্ণভাবে সাজানোর জন্য যেসব পদক্ষেপ দরকার সবই নেয়া হবে। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম বলেন, তৃণমূলে দলকে 'শক্তিশালী' ও নেতাকর্মীদের 'সুসংঘটিত' করতে বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশনা আছে কেন্দ্রের। এক্ষেত্রে কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠন করতে বলা হয়। মহানগর বিএনপির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ এম এ আজিজ বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে হবে যাতে কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী কেউ যেন স্থান না পায়। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন এবং জেল কেটেছেন, তারাই যেন কমিটিতে স্থান পায়। নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, ইতোমধ্যে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে মহানগর বিএনপি ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মশালা ও প্রতিনিধি সভা করে যাচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি এসব সভা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডের সভা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডের সভা ১৫ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে শেষ হবে। ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে ঘোষণা করা হবে নগর বিএনপির আওতাধীন ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি।