প্রস্তাবে সরকারের অনুমোদন
মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন ১৩ হাজার কোটি টাকায়
প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নে প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
জানা যায়, 'মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত)' প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-১ এর পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সিভিল ওয়ার্ক ফর পোর্ট কন্সট্রাকশনের (প্যাকেজ নম্বর-১) পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপত্র জমা পড়ে। দর প্রস্তাবটি টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টেকনিক্যাল মূল্যায়ন কমিটির (টিইসি) নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পেন্টা এবং ওশেন/টিওএ বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬ হাজার ১৯৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
উদ্ধৃত দর দাপ্তরিক প্রাক্কলন অপেক্ষা বেশি হওয়ায় জাইকার পরামর্শক্রমে দরদাতার সঙ্গে প্রাইস নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে দাপ্তরিক প্রাক্কলন অপেক্ষা ৩৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করে সুপারিশ করা হয়। প্যাকেজের আওতায় সিভিল ওয়ার্ক ফর পোর্ট কন্সট্রাকশন, জেটি, টার্মিনাল ভবন, পেভমেন্ট নির্মাণ কাজ, রিটেইনিং ওয়াল, সিওয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং ল্যান্ড রিক্লেমেশন, জরুরি জেনারেটর, সৌর বিদু্যৎ, টার্মিনাল ইউটিলিটি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পূর্ত/বৈদু্যতিক কাজ সম্পন্ন করা হবে।
কমিটির বৈঠকে আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, 'মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত)' প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-সিডবিস্নউ-৩বি'র পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। তিনটি দর প্রস্তাবই টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে টোকিও এবং এমআইএল বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০৯ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪২ টাকা। প্যাকেজের আওতায় ব্রিজসহ ৬ দশমিক ৪ কিলোমিটার অ্যাক্সেস রোডের আওতায় ৪টি সেতু, ১৫টি কালভার্ট, ৯টি আন্ডারপাস ও একটি ইন্টারসেকশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
ওই বৈঠকে আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, 'মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)' প্রকল্পের প্যাকেজ নং-সিডবিস্নউ-৩সি এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-সিডবিস্নউ ৩সি এর পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপত্র জমা পড়ে। তিনটি দরপ্রস্তাব টেকনিক্যালি রেসপনসিভ বিবেচিত হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান টোকিও এবং এমআইএল যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০৯ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪২ টাকা। প্রস্তাবিত প্যাকেজের আওতায় ব্রিজসহ ৯ দশমিক ১ কিলোমিটার সড়ক, ৬টি সেতু, ১৬টি কালভার্ট, ১০টি আন্ডারপাস ও একটি ইন্টারসেকশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, গত ২০ ফেব্রম্নয়ারির ওই বৈঠকে ইমপ্রুভমেন্ট অব ল্যান্ড পোর্টস অ্যাট আখাউড়া অ্যান্ড তামাবিল বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টসের (প্যাকেজ নম্বর-সিডবিস্নউ-১) পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। 'সাউথ এশিয়া ইকোনমিক কোঅপারেশন (সাসেক) ইন্টিগ্রেটেড ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পের (প্যাকেজ নম্বর-সিডবিস্নউ-১)' পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র একটি দরপত্র কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্যাকেজের আওতায়- তামাবিল স্থলবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি করা মালামাল সংরক্ষণের জন্য ভূমি উন্নয়নসহ ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়েব্রিজ স্কেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।