আশুলিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার আশুলিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও মিনি পিকআপ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবির। এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ২টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি কবরস্থান রোডে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলেন-পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার পারদাউকা এলাকার মৃত আজিজ মোলস্নার ছেলে মো. খায়ের হোসেন (৩৫), বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সোনাপুর এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. কবির হোসেন (৪৫), সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার চরসিলেবাস এলাকার ছলেমান আলীর ছেলে মো. ইমরান আলী (৪২), নাটোর জেলার সিংড়া থানার গোডাউন পড়া এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (৫৫) এবং কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার রাজবাড়ী গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত ফজর উদ্দিনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৫০)। তারা সাভার আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। অভিযানকালে ডাকাত সদস্য রিপন, তালিম, রহমত উলস্নাহসহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবির জানান, আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, একদল ডাকাত অস্ত্রসহ ডাকাতির জন্য সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আশুলিয়া থানাধীন বাইশমাইল রোড কবরস্থানের পাশে ফাঁকা জায়গায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আশুলিয়া থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি টর্চলাইট, ১টি রামদা, ১টি বড় দা, ১টি বড় চাইনিজ কুড়াল, ১টি কাটার, ১টি বড় কাঠের লাঠি, ১টি মিনি পিকআপ (যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্টো-ন- ২০-৯৬৬৪) উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তারা ডাকাতি করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।