রাজশাহীর সেই এএসআইকে প্রত্যাহার

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহীতে ঘুষ না দেয়ায় পিটিয়ে এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগে দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতেই তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুলস্নাহ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদুল হাসান বলেন, এএসআই হাফিজকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য পুঠিয়া সার্কেলের সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শাহীদকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর দুর্গাপুরে ঘুষ না দেয়ায় পিটিয়ে এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে। জেলার দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন অনন্তকান্দি গ্রামের সাইদুল ইসলাম। তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সাইদুল সাংবাদিকদের জানান, তার পুত্রবধূ তার ছেলে আসাদুল ইসলামে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসাদুলকে আটক করেন এএসআই হাফিজ। তাকে থানায় না নিয়ে অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে সাইদুল তার ছেলে আসাদুলকে ছাড়াতে যান ওই বিদ্যালয় মাঠে। সাইদুল বলেন, এ সময় আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই হাফিজ। টাকা নেই বলে জানালে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। আমি তাকে ৯০০ টাকা দিলে তা নিয়েও হাফিজ আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আর গভীর রাতে ছেলে আসাদুলকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসক আসফাক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাইদুল ইসলামের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হাড় ভেঙে গেছে। তবে এক্সরে না করে নিশ্চিত হওয়া যাবে না কী পরিমাণ ভেঙেছে। স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এক্সরে মেশিন না থাকায় বাইরে থেকে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এএসআই হাফিজ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, আসাদুল নামে কাউকে আটক বা তার বাবার কাছে ঘুষ দাবি বা কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।