প্রস্তাবিত বাজেট দেশে আয় বৈষম্য বাড়াবে: ক্ষেতমজুর সমিতি

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ -যাযাদি
বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট দেশে আয় বৈষম্যকে আরও বৃদ্ধি করে বড়লোকদের আরও বড়লোক করবে। অপরদিকে মধ্যবিত্ত ও গরিবদের নিঃস্ব করবে। কালো টাকার মালিক ও ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকারী এই বাজেট সংবিধানের মূলনীতি ও চেতনার পরিপন্থি। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে এ সব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোতালেব হোসেন ও আরিফুল ইসলাম নাদিম এবং কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মানবেন্দ্র দেব। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রামীণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পলস্নী রেশন। বাজেটে আর্মি-পুলিশের জন্য রেশন বরাদ্দ করা হলেও দেশের উৎপাদনের চালিকাশক্তি গরিব শ্রমজীবী মানুষের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এই গ্রামীণ ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের সারাবছর কাজ থাকে না। ক্ষেতমজুরদের সারাবছর কাজের নিশ্চয়তা তৈরির জন্য কর্মসৃজন কাজের দিন বৃদ্ধি করে সব উপজেলায় একশ' দিনের কাজ ও পাঁচশ' টাকা মজুরির বরাদ্দর দাবি জানান নেতৃবন্দ। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামীণ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে উলেস্নখ করে নেতৃবৃন্দ উত্থাপিত বাজেট অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানান। তারা বলেন, বাজেটে গ্রামীণ ছয় কোটি মানুষের জন্য রেশন ও '১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি', পেনশনের জন্য বরাদ্দ দাবি করেন। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুর ও গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দের দাবিতে আগামী ২০ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।