রাশিদা হোসেন চৌধুরীর একাদশ মৃতু্যবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কর্ণফুলী গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী ও প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা হোসেন চৌধুরীর একাদশ মৃতু্যবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার রাজধানীর কাকরাইলের এইচ আর ভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তার পরিবারবর্গ ও ঘনিষ্ঠজনরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করেন। দোয়া মাহফিলে মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর সুন্দর পারলৌকিক জীবন কামনার পাশাপাশি তার প্রয়াত স্বামী হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর জন্য বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া মরহুমার তিন সন্তানসহ তাদের পরিবারের সদস্যের সুন্দর জীবন পরিচালনায় মহান আলস্নাহর দরবারে দোয়া চাওয়া হয়। এই বিশেষ দোয়ায় অনলাইনে যুক্ত হন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দোয়া মাহফিলে উপস্থিত সবার মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা এবং তাদের সন্তানদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকার নয়াপল্টন কালভার্ট রোড মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি তওহীদুল ইসলাম। মোনাজাতে ইমাম মরহুমার জান্নাত কামনা করে বলেন, 'রত্নাগর্ভা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর তিন সন্তান দেশ ও বিদেশে মানুষের কল্যাণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নানাভাবে দেশের সেবা করছেন এবং দেশের মুখ সর্বত্র উজ্জ্বল করছেন। তার তিন সন্তানের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ কাজ করছেন। যারা দেশ এবং দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। সকলের দোয়ায় মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামিন তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন।' এ সময় মরহুমার পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ বিশিষ্ট সমাজসেবিকা ও শিক্ষানুরাগী রাশিদা হোসেন চৌধুরী আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং লাখো অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর আলহাজ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মাতা ফাতেমা খাতুন চৌধুরানী।