গ্রেপ্তার আসামিকে নিয়ে অভিযান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত তার সহযোগী

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আসামি নিয়ে অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তার এক 'সহযোগী' নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোররাতের এই 'বন্দুকযুদ্ধে' চার পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথাও জানান তিনি। নিহতের নাম মো. রাসেল মাহমুদ (৩৮)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানা উত্তর লক্ষ্ণণঘোনা এলাকার ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল একজন চিহ্নিত 'মাদক ব্যবসায়ী'। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় দুটির বেশি মামলা রয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে টেকনাফে ইয়াবা কিনতে এসেছিলেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হাবিব হোসেন, সজীব সরকার ও তুহিন হাসান। আমীর হামজা নামে গ্রেপ্তার একজনকে নিয়ে অভিযানের সময় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকায় 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে বলে জানান ওসি প্রদীপ। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈংগাকাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাদক মামলার পলাতক আসামি হামজাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়াবার চালান মজুদ থাকার তথ্য স্বীকার করেন। 'ভোর রাতে আমির হামজাকে নিয়ে দৈংগাকাটার উজাই অং চাকমার পাহাড়ে পৌঁছলে উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গোলাগুলি থেমে যায়। 'এ সময় ঘটনাস্থলে এক হাতে ১টি বন্দুক, অন্য হাতে শপিং ব্যাগ থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়।' গুলিবিদ্ধ রাসেলকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃতু্য ঘটে। ওসি বলেন, 'গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির দেহ তলস্নাশির সময় তার বুক পকেটে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। এতে রাসেল মাহমুদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।' রাসেলের হাতে থাকা ব্যাগে ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায় বলে ওসি জানান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।