যুবলীগের দুই নেতা হত্যায় আমানুর রানার জামিন

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আমানুর রহমান খান রানা
যাযাদি রিপোর্ট যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা জামিন পেয়েছে। তার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। এই মামলায় জামিন হওয়ায় রানার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রানার আইনজীবী রুশো মোস্তফা। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হতে পারে। নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন সাবেক এ সাংসদ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিন ও রুল দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত হয়। জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তাতে স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ২৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়। বুধবার আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। আদালতে রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও রুশো মোস্তফা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উলস্নাহ। রুশো মোস্তফা বলেন, এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান, যা পরে আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। এ মামলায় জামিন হওয়ায় সাবেক সাংসদ রানার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।