আমানুরের মুক্তি আটকে গেল

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আমানুর রহমান খান রানা
টাঙ্গাইলের বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত হয়েছে। এই জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। আমানুরের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে তার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন সেদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে কারাগারে থাকা আমানুরের মুক্তি আটকে গেল। বুধবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এই সাংসদের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেয়। এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল আবেদন করেন। এই আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উলস্নাহ। অন্যদিকে আমানুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উলস্নাহ বলেন, আমানুরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে তার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ১ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জামিন স্থগিত হওয়ায় আমানুর এখন কারামুক্তি পাচ্ছেন না। টাঙ্গাইল সদরের বাঘিলের যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। মামুনের বাবা এক বছর পর আদালতে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেন, সাংসদ আমানুরের নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। ওই দুইজনের লাশ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এই মামলায় গত বছরের ৩ মে আমানুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি খুন হন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ। ওই হত্যা মামলায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন সংসদ সদস্য আমানুর। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খানসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন। তার বাকি তিন ভাই পলাতক।