সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুর খাদ্যগুদামে ৮০০ টন চালের বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উলেস্নখ না করার বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, চাল-সংক্রান্ত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'সাতক্ষীরার একটি গুদামে থাকা চাল পরীক্ষা করে আদালত আমাদের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। আমরা চালের চারটি নমুনা পরীক্ষা করে সে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। আদালত আমাদের প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।'
এরপর আদালত ওইসব চালের বস্তায় কেন মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উলেস্নখ করা হয়নি সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। চালের মেয়াদ কি আজীবন থাকবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সকিপুর খাদ্যগুদামে ৮০০ টন চাল সংগ্রহ করে। কাজের বিনিময় খাদ্য (কাবিখা) ও খ্রিষ্টানদের বড়দিন উপলক্ষে এই চাল কুষ্টিয়া গুদাম থেকে সংগ্রহ করা হয়।
এমনকি নতুন চালের বস্তা চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখে মাঝে পুরনো এসব চালের বস্তা গুদামজাত করা এবং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে স্থানীয়রা বিষয়টির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৪ মে সাতক্ষীরায় মেয়াদোত্তীর্ণ চাল গুদামজাত করার ঘটনা তদন্ত করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ মে সময় বেঁধে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, আর যদি ঘটেও থাকে, তাহলে এর সঙ্গে জড়িত কারা, তা জানতে চায় আদালত।
আদেশের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদন্ত করে ১৯ জুন প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
