টিআইবি ঢালাওভাবে বলেছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জনপ্রশাসন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে 'ঢালাও' দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, প্রতিবেদনে যেসব দাবি করা হয়েছে তা বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। রোববার 'জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার: নীতি ও চর্চা' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সেখানে দাবি করা হয়েছে, জনপ্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতিতে রাজনৈতিক বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে, মেধা উপেক্ষিত হচ্ছে। বিধিমালায় না থাকলেও পদোন্নতিতে গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'রিপোর্টটি আমি এখনো দেখিনি, আমাদের হ্যান্ডওভারও করেনি। নিউজে যেটুকু আসছে, আপনাদের মতো আমিও জানি। তবে তারা (টিআইবি) যেটা ঢলাওভাবে বলেছেন, (পরিস্থিতি) ওরকম না, আমাদের কাজগুলো ওরকম না।' বিধিবিধান অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য সম্পদের হিসাব দিতে বলার কথা থাকলেও টিআইবির দাবি, প্রতি পাঁচ বছর পর পর এ তথ্য আপডেট করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'এটা আমরা দিয়েছি, অনেকদিন চাওয়া হয়নি, চাওয়া হলে দিতে হবে, এটা নিয়ম। এটা জনপ্রশাসন হিসাব রাখে। পাঁচ বছর পর চাইলে দেবে এটাই নিয়ম, না চাইলে দেওয়ার কথা নয়।' প্রশাসনে উপরের দিকে বেশি পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে- টিআইবির মূল্যায়ন নিয়ে শফিউল আলম বলেন, 'আমাদের রিক্রুটমেন্ট সেই পরিমাণ ফিলআপ করতে পারছে না। একজন সহকারী কমিশনার পাঁচ বছরের মাথায় ইউএনও হয়ে যান। মাঝখানের পদগুলো ফাঁকা থেকে যায়, যার যোগ্যতা হয়ে যায় তিনি ইউএনও হয়ে যান, তিনি তখন ছোট পদে কাজ করবেন কেন?' চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ মনে হয় এই সময়ে সবচেয়ে কম। আমরা অল্প কয়েকজন আছি, খুবই কম, মিনিমাম নাম্বার।'