হাইকোর্টে ঋণখেলাপির তথ্য দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে খেলাপি ও অকার্যকর ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিভিন্ন আদালতের আদেশে আটকে আছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন তথ্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি খেলাপি ঋণের তথ্য আদালতে সিলগালা অবস্থায় উপস্থাপন করেন। তবে কোন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি বা অর্থের পরিমাণ কত তা আদালতে প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। মোট ঋণের দুই শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে একজন ঋণখেলাপি ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নীতিমালার কার্যক্রমের ওপর ইতিপূর্বে দেয়া স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরও দুই মাসের জন্য বাড়িয়েছেন আদালত। এর আগে ২১ মে হাইকোর্ট ঋণখেলাপিদের তথ্য-সংক্রান্ত তথ্যাদি ২৪ জুন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক মাসের জন্য। এর ধারাবাহিকতায় আজ ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্যাদি আদালতে দাখিল করা হয়। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার উপস্থিত ছিলেন। ২০০৯ সালের শুরুতে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। ২০১৮ সাল শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এ ছাড়া অবলোপন ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।