প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের ভাঙচুর তান্ডব

ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতা ইকতিয়ার রহমান কবির বলেন, বয়সসীমা তুলে দিয়ে পুনঃতফসিল না হলে সম্মেলন হতে দেয়া হবে না

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার ভাঙচুর চালায় ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট বয়সসীমা নির্ধারণ না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ও ১২ নেতাকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ভাঙচুর চালিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিএনপির কার্যালয়ের নিচে তান্ডব চালায় ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কাকরাইলের স্কাউট ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধরা বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদলের বেশকিছু নেতাকর্মীকে ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তারা কার্যালয়ের নিচের শাটার ও প্রবেশপথে লাথি মারেন। ধাওয়ার সময় নিচতলায় অবস্থান করা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের মারামারিতে মাহবুবুর রহমান নামের একজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই। তবে তিনি বলেন, তারিখ অনুযায়ী ১৫ জুলাই সম্মেলন হবে। সেই অনুযায়ী তাদের কর্মকান্ড চলছে। ভাঙচুরের বিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইকতিয়ার কবির (বর্তমানে বহিষ্কৃত) অভিযোগ করে বলেন, ভেতরে যারা আছেন, তারা চেয়ার-টেবিল, সিসি ক্যামেরা এগুলো ভেঙেছে। তারা যখন ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন, তখন ভেতরে থাকা নেতা-কর্মীরা তাদের দিকে কাপ ছুড়ে মারে। এতে তাদের একজন আহত হয়েছেন। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ইকতিয়ার রহমান কবির বলেন, বয়সসীমা তুলে দিয়ে পুনঃতফসিল না হলে সম্মেলন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বুধবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো ঘটনা ঘটলে তার জন্য সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। ঘোষিত তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিলের দাবি জানান তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, যারা আন্দোলন করছে, তারা তাদেরই ছোট ভাই। তারা আশা করব জ্যেষ্ঠ নেতারা যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তা মেনে নিয়ে তারা সহযোগিতা করবেন। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কাকরাইলের স্কাউট ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধরা বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। ওই সময়ে কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্র দলের বেশকিছু নেতাকর্মীকে ধাওয়া দেন তারা। কার্যালয়ে নিচের শাটার ও গেটে লাথি মারেন বিক্ষুব্ধরা। নিচ তলায় ধাওয়া খাওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের মারামারিতে মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ নামে এক বিক্ষোভকারী আহত হয়। কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে নিরাপত্তা কর্মীর টেবিল ভাঙা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধরা নিরাপত্তাকর্মীকে গেটের বাইরে বের করে দেয়। কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বসে পড়ে থেমে থেমে 'সিন্ডিকেটের দালালদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও', 'সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, অ্যাকশন' 'সিন্ডিকেটের দেয়া নির্বাচন মানি না, মানব না' - ইত্যাদি স্স্নোগান দেন তারা। বেলা ১২টায় এসেই বিক্ষোভকারীরা ভবনের নিচতলায় বিদু্যতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলেও পরে ভেতরে অবস্থানরত কর্মীরা প্রধান ফটকের পরের শাটার গেট বন্ধ করে দিয়ে আবার বিদু্যতের মেইন সুইচ চালু করে। কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুেয়ল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং ৩০/৪০ জন কর্মী অবস্থান করছিলেন।