সা’দবিরোধী সমাবেশে আহমদ শফী: ৬টি সিদ্ধান্ত ঘোষণা

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন Ñযাযাদি
তাবলিগ জামাতে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধীদের ওয়াজাহাতি জোরে (পরামশর্ সভা) অংশ নিয়েছেন হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী। শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দিয়ে সাদবিরোধীদের সমথর্ন দেন তিনি। সমাবেশে তাবলিগ ও হেফাজতপন্থি কওমি আলেমরা অংশ নেন। সমাবেশে আলেমদের পক্ষ থেকে ৬টি সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো পড়ে শোনান মাওলানা মাহফুজুল হক। এগুলো হলোÑ ১. জমহুর উলামায়ে কেরাম একমত হয়েছেন। তিনটি মৌলিক কারণেÑ (ক) কোরআন ও হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, (খ) তাবলিগের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তাবলিগ ছাড়া দ্বীনের অন্যান্য মেহনতকে যথা দ্বীনিশিক্ষা ও তাসাউফ ইত্যাদিকে হেয়প্রতিপন্ন করা। (গ) পূবর্বতীর্ তিন হযরতি (হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.), হযরত মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.)-এর উসুল ও কমর্পন্থা থেকে সরে যাওয়ার কারণে বতর্মানে মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেবকে অনুসরণ করা সম্পূণর্ভাবে বজর্নীয় ও নিষিদ্ধ। ২. মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব হযরত মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.)-এর রেখে যাওয়া শূরায়ি নেযামকে উপেক্ষা করে নিজেই নিজেকে আমির দাবি করেছেন। যা শরিয়তবিরোধী। তাই তার কোনোরূপ সিদ্ধান্ত-ফয়সালা বা নিদের্শ কাকরাইল তথা বাংলাদেশে বাস্তবায়িত করা যাবে না। ৩. দারুল উলুম দেওবন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদশর্ থেকে সরে গিয়ে নতুন কোনো ফেরকা গঠনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কোনো জামাত বা ব্যক্তিকে নেযামুদ্দিনে পাঠানো বা যাওয়া মুনাসিব হবে না। অনুরূপভাবে নেযামুদ্দিন থেকে আগত কোনো জামাতকে বাংলাদেশের কোনো জেলায়/থানায় ইউনিয়নে কাজ করার সুযোগ দেয়া যাবে না। ৪. হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.), হযরত মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও হযরত মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.)-এর বাতানো পদ্ধতিতে দাওয়াত এবং তাবলিগের কাজ সারাদুনিয়াতে সমাদৃত ও গৃহীত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের তাবলিগের কাজ পূবর্বতীর্ এই তিন হযরতের পদ্ধতিতে এবং উলামায়ে কেরামের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হবে। নতুন কোনো পদ্ধতি চালু করা যাবে না। কাকরাইল, টঙ্গী ময়দান এবং জেলা মারকাযসহ সব মারকায এই নীতিতেই পরিচালিত হবে। ৫. কাকরাইল মসজিদের যে সব শূরা সদস্য আমরণ মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেবের ভ্রান্ত আকিদা অনুসরণের হলফনামা করেছেন যা শরিয়ত পরিপন্থি তারা শূরার সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। অতএব, তাদের তাবলিগের কাজে শূরা ও ফায়সাল না রাখার আহŸান জানানো যাচ্ছে। ৬. ২০১৮-এ টঙ্গী ইজতেমায় সরকারের সঙ্গে পরামশর্ক্রমে আগামী ২০১৯-এর টঙ্গী ইজতেমার জন্য নিধাির্রত তারিখÑ প্রথম পবর্ ১৮, ১৯, ২০ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় পবর্ ২৫, ২৬, ২৭ জানুয়ারির সঙ্গে আজকের মজমা ঐকমত্য পোষণ করছে। উপরিউক্ত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে এবং বতর্মানে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজে বিশৃঙ্খলাবোধে সরকারের সাবির্ক সহযোগিতা কামানা করা হয়।