অপহরণের কারণ রাজনৈতিক সন্দেহ আ’লীগ নেতার

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পারভেজ হোসেন
‘রাজনৈতিক কারণে’ তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন ঢাকার লালমাটিয়া থেকে অপহরণের পর পূবার্চলে উদ্ধার কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ হোসেন। উদ্ধারের পরদিন শনিবার দুপুরে লালমাটিয়ায় নিজ বাসায় সাংবাদিকের প্রশ্নে এই সন্দেহের কথা জানান তিনি। পারভেজ বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় গাড়ি করে এক লোক এসে তাকে সালাম দেয়, ঠিক ওই সময় পেছন থেকে আরেকজন এসে ধাক্কা দিয়ে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। এরপর মুখে কাপড়ের মতো কিছু একটি ধরে তাকে অজ্ঞান করে ফেলেছিল। ‘জ্ঞান ফেরার পর গাড়ির ভেতরেই ইংরেজি-বাংলা দুই সেট তিনশ’ টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর দীঘর্ক্ষণ গাড়িতে করে ঘুড়িয়ে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে রূপগঞ্জ কাঞ্চন ব্রিজের আগে একটি উন্মুক্ত স্থানে আমাকে নামিয়ে দেয়া হয়।’ অপহরণের কারণ জানতে চাইলে পারভেজ বলেন, ‘আমার কোনো ব্যবসায়িক দ্ব›দ্ব নেই, রাজনৈতিক কারণেই এটি হতে পারে।’ আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কাজ করছেন তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পারভেজ। এই আসনটিতে এখন সংসদ সদস্য জাতীয় পাটির্র আমির হোসেন ভ‚ঁইয়া। বেশ কয়েকবার এই আসন থেকে নিবাির্চত বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার কিছুদিন আগে মারা গেছেন। কাউকে সন্দেহ করছেন কি নাÑ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পারভেজ বলেন, ‘তিতাসের বতর্মান ভাইস-চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল শিকদারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে আমার, এরই জের ধরে কুমিল্লায় আমার বাড়িতে হামলাও হয়েছিল। তখন আমি সোহেল শিকদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করি, যা চলমান আছে।’ ‘তবে তুলে নেয়ার ঘটনায় আমি কাউকে সন্দেহ করছি না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে, অপরাধীদের তারাই খুঁজে বের করবে।’ পারভেজ জানান, গাড়িতে মোট পঁাচ-ছয়জন অপহরণকারী ছিলেন, পুরো সময়টিতে তার মাথার অস্ত্র ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল।