পদ্মা-আড়িয়াল খঁা নদে চলছে রেণু পোনা ধরার মহোৎসব

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

সদরপুর (ফরিদপুর) সংবাদদাতা
পদ্মার আড়িয়াল খঁা নদে জাল দিয়ে রেণু পোনা নিধন করছে অসাধু জেলেরা Ñযাযাদি
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা-আড়িয়াল খঁা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিষিদ্ধ নেট জাল ও বঁাধা জাল দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছের রেণু পোনা আহরণ চলছে। এ ছাড়াও নদে অবাধে মশারি জাল, বিহিন্দী ও কারেন্ট জাল দিয়ে নিবির্চারে চিংড়ির রেণু পোনা (গলদা চিংড়ি) নিধনের মহোৎসব চলছে। এ সব রেণু পোনা ধরতে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের রেণু পোনা ধ্বংস হচ্ছে প্রতিদিন। অভিযোগ রয়েছে, এ সব নিষিদ্ধ রেণু পোনা কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে নিরাপদ হিসেবে সড়ক ও নদীপথ দিয়ে বড় বড় ড্রাম কিংবা পাতিল ভতির্ করে অন্য জেলায় চালান করছে একটি দালালচক্র। ফলে জলজ প্রাণির ওপর মারাত্মক প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভরা মৌসুমে একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী মহাজন মৌসুমি জেলেদের দিয়ে রেণু পোনা আহরণ করছে। একটি সূত্র জানায়, এ মৌসুমে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য মিশন চলবে রেণু পোনা নিধনে। প্রতিবছর এ সব নদ-নদীর ও খালে নিষিদ্ধ নেট জাল ও বঁাধা জাল দিয়ে পোনা ধরতে আসা জেলেরা মৌসুমভিত্তিক অস্থায়ী বসতি ঘর তুলে রেণু পোনা আহরণ করছে। পদ্মা-আড়িয়াল খঁা নদের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল ও বিহিন্দী জাল দিয়ে রেণু পোনা (গলদা চিংড়ি) ধরছে। প্রতিবার জাল ফেলে সাত থেকে আটটি চিংড়ির রেণু পোনা পেলেও তার সঙ্গে উঠে আসছে টেংরা, পোয়া, কাতলাসহ অন্য প্রজাতির মাছের পোনা। চিংড়ি পোনা আলাদা করে মাটি ও অন্যান্য পাত্রে জিইয়ে রাখলেও অন্য প্রজাতির মাছের পোনাগুলো ডাঙায় অথবা চরে ফেলে দেয়ায় সেগুলো মারা যাচ্ছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদপাড়ের কিছু অসাধু জেলে চক্র অন্য জেলার জেলেদের দিয়ে বিহিন্দী জাল, মশারী জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে এ সব রেণু পোনা নিধন করাচ্ছেন দেদারছে। এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কমর্কতার্ ফাতেমা আক্তার পান্নার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।