জাতীয়করণ শিক্ষকদের ক্যাডারে অন্তভুর্ক্ত করলে আবারও আন্দোলন

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয়করণ হওয়া কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে অন্তভুর্ক্ত হওয়াকে কোনোভাবেই মেনে নেবেন না শিক্ষা ক্যাডাররা। প্রয়োজনে তারা আবারও আন্দোলনে নামবেন। একই সঙ্গে আত্তীকরণ নীতিমালা পরিবতের্নর দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা। রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠনটির আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব শাহিদুল খবির চৌধুরী বলেন, সরকারের ২৭টি ক্যাডারের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ হওয়া সত্তে¡ও দীঘর্ ৩০ বছর ধরে নানা অনিয়ম বঞ্চনায় শিকার হয়ে আসছেন শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কমর্কতার্। বতর্মানে সরকারের জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে অন্তভুির্ক্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন বিধান রেখেই আত্তীকৃত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমরা দীঘির্দন ধরে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমাদের যৌক্তিক দাবিকে আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নিদের্শনা দেন। তার ভিত্তিতে শিক্ষা ক্যাডারে কোনো বিধিবহিভূর্ত ক্যাডারভুক্তি হবে না এবং দ্রæতই এর একটি স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অথচ আত্তীকরণ নীতিমালায় নন-ক্যাডারভুক্তদের একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভুক্ত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কোনো বিধিবহিভূর্ত ক্যাডারভুক্তি মেনে নেয়া হবে না। সহসাই এ সমস্যার সমাধান না হলে আবারও শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কমর্কতার্রা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। সংগঠনের সভাপতি আইকে সেলিমুল্লাহ খোন্দকার বলেন, নন-ক্যাডার শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করতে আমরা দীঘির্দন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আমাদের দাবি মেনে নিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ করে তিনি বলেন, জাতীয়করণভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষা ক্যাডারে অন্তভুর্ক্ত হলে এতে শিক্ষা ক্যাডারের জন্য হুমকি দেখা দেবে। আমাদের মধ্যে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাত্তীকৃত নীতিমালা পরিবতের্নর মাধ্যমে জাতীয়করণ শিক্ষকদের নন-ক্যাডারে রাখার আবেদন জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক, দপ্তর-সংস্থার কমর্কতার্ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।