ব্যবসায়ী নিখোঁজ অভিযোগর্ যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বিডিনিউজ
এক মাস ধরে নিখোঁজ ঢাকার এক কাঠ ব্যবসায়ীর পরিবার একর্ যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ইসমাইল হোসেন (৬০) নামে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে তাকে অপহরণ করেছেনর্ যাবের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবির। তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছেন এইর্ যাব কর্মকর্তা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মিরপুরের ব্যবসায়ী ইসমাইলের স্ত্রী নাসরিন জাহান স্মৃতি ও ছোট ভাই খায়রুল আলম। তারা জানান, গত ১৯ জুন মিরপুরের বাসা থেকে সকাল ৯টায় বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ইসমাইল। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। পরদিন ছোট ভাই খায়রুল শাহ আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখনো পুলিশ কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। নাসরিন বলেন, র্'যাব সদর দপ্তরের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবিরর্ যাবকে ব্যবহার করে পূর্ব শত্রম্নতার জের ধরে আমার স্বামীকে অপহরণ করেছে। আমার স্বামী বেঁচে আছে কিনা, কোথায় আছে, সেটা আমরা জানতে চাই।' সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল ও নাসরিনের দুই শিশুসন্তানও উপস্থিত ছিলেন। নাসরিন বলেন, 'আমার দুটি শিশুসন্তান রাতে বাবার জন্য ঘুমাতে পারে না। বাবার অপেক্ষায় তারা সারারাত বাসায় দরজার \হসামনে বসে থাকে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।' র্ যাব কর্মকর্তার সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩৫ বছর আগের্ যাবের কর্মকর্তা রাসেল কবিরের বাবা কিশোরগঞ্জের বাজিরপুর থানার কুকরারাই গ্রামের তৎকালীন জাগদল নেতা ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু মিয়া খুনের ঘটনায় তার স্বামী ইসমাইল ১২ নম্বর আসামি ছিলেন, কিন্তু আদালতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। 'আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ৪-৫ দিন আগে বলেছিল, সে লোক মারফত শুনেছে,র্ যাবে রাসেল আহম্মদ কবির তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায়। এ জন্য আমার স্বামী থানায় জিডিও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি নিখোঁজ হলেন।' এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলের্ যাব কর্মকর্তা রাসেল কবির বলেন, '৩৫ বছর আগে আমার বয়স ছিল দুই বছর। তখন আমাদের সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা আমরা পারিবারিকভাবেই ভুলে গেছি। 'তাই এর জের ধরে কাউকে অপহরণ করার প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ সত্য না।' তিনি আরও বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তো তাদের আগের্ যাবে অভিযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটাও করেনি।'