প্রিয়া সাহার ব্যাপারে জামায়াতের বক্তব্য

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা গত ১৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করে 'বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদীরা হিন্দুদের জায়গা-জমি দখল ও ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে' মর্মে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, 'হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা 'বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদীরা হিন্দুদের জায়গা-জমি দখল ও ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন' মর্মে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের দায়-দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে তিনি দেশেরই ক্ষতি করেছেন। তার এ ধরনের তৎপরতা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল সংখ্যালঘুই সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্টের হীন উদ্দেশ্যেই তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল তার ঐ মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি এ মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে নিজের ব্যক্তি স্বার্থে দেশের ক্ষতি করেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন যে, 'বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানকে গুম করা হয়েছে।' এত অধিক সংখ্যক সংখ্যালঘু তো বাংলাদেশে ছিলই না। তাহলে এত অধিক সংখ্যক সংখ্যালঘু গুম হলো কীভাবে? এতেই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, তার এ বক্তব্যটি নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তার এই বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীর শামিল। সুতরাং সরকারকে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।' প্রেস বিজ্ঞপ্তি।