বড়পুকুরিয়ায় কয়লা লোপাট

সাত এমডিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এক লাখ ৪৩ হাজার টন কয়লা লোপাটের ঘটনায় করা মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক। রোববার দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সামছুল আলম। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা মূল্যের এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তদন্তে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে পাঁচজনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে নতুন করে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় মামলায় আরও নয়জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা চুরির ঘটনা কর্তৃপক্ষের প্রথম নজরে আসে গত বছরের জুনে। যখন বড়পুকুরিয়া তাপবিদু্যৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে কয়লা সরবরাহে ঘাটতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে। দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে বড়পুকুরিয়ার খনি থেকেই কয়লা সরবরাহ করা হয়। সেখানে এক লাখ ৪৩ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ কয়লা চুরির ঘটনায় মামলার তদন্ত শুরুর পর দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদও বলেছিলেন, দ্রম্নত তদন্ত শেষ করে এর প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে দুদক। তিনি বলেন, শিগগির এর ফলাফল, আইনি ভাষায় যাকে বলা হয় ফাইনাল রিপোর্ট অথবা চার্জশিট (সেটা) আমরা আদালতে সাবমিট করব। 'দিস ইজ এ ভেরি সিম্পল কেস'। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, মামলায় যে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল তারা ছাড়াও আরও কিছু নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য কমিশন থেকে তদন্ত টিমকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা পাওয়ার পর টিমের সদস্যরা নড়েচড়ে বসেন। তারা সংগ্রহ করেছেন ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত এমডিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা।