চীনের বন্যার পানি আসার শঙ্কা

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
উজান থেকে আসা ভারতীয় ঢলের সঙ্গে চীনের বন্যার পানি এসে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, বন্যার বিষয়ে সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এসব কথা সাংবাদিকদের জানান। বর্তমানে দেশের ২৮টি জেলায় বন্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'চীনের পানি যখন পুরোদমে আশা শুরু করবে তখন বন্যা ভয়াবহ হতে পারে। সরকারের কাছে আগাম ধারণা আছে যে, এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেইভাবে আগাম প্রস্তুতিও সরকারের আছে। বন্যা যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয় সেটা আমরা কামনা করি। তবে হলেও যেন আমরা মোকাবিলা করতে পারি।' বন্যা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ২৮টি জেলায় বন্যা হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে ত্রাণ কম পাওয়া বা না পাওয়ার অভিযোগ থাকতেই পারে। হয়ত হতে পারে সেখানে একশ টন ত্রাণ সাহায্য দরকার। হয়ত দেয়া হয়েছে কয়েক টন। তবে মন্ত্রণালয় এসব মনিটর করছে। তাদের কার্যক্রম ও মনিটর যাতে আরও গতিশীল ও কার্যকরী হয় সেটা বলা হয়েছে। মানুষ যেন বেশি কষ্টে না পড়ে তা দেখতে বলা হয়েছে। আমরা বলেছি, ত্রাণ যাতে কম না পড়ে বা অপ্রতুল না হয় সেটা আমরা দেখতে বলেছি।' তিনি জানান, সোমবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রম্নত এলাকা সফর করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা নেয়া হবে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ২৮ জেলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিলেট, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কঙ্বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জুয়েল আরেং, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং কাজী কানিজ সুলতানা অংশ নেন।