খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৭৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এ দিনে বাবার কর্মস্থল দিনাজপুরের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিনের এই লগ্নে তিনি কারান্তরীণ রয়েছেন। কারা হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। ২০০৮ সালের পর তৃতীয়বারের মতো জন্মদিন কারাগারে কাটছে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ এই নেত্রীর। জন্মদিন উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ কর্মসূচির বদলে সারাদেশে নেত্রীর সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ দিবসে জন্মদিন উদযাপন না করতে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগসহ খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিগত সময়ে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করা বিএনপি চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার আগে শেষ দুই বছর কেক কাটেননি। এবারও বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে কেক কাটার বিষয়টি নেই। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে। তার বাবা এস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে খালেদা তৃতীয়। ১৯৬০ সালের আগস্টে বগুড়ার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছুসংখ্যক বিপথগামী সৈন্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এর পরপরই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে খালেদা জিয়ার। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। '৮৩ সালের মার্চে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং '৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৮৪-এর ১ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় অভিষিক্ত হন। এ পর্যন্ত তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। ১৯৯৩ সালে তিনি সার্কের প্রথম মহিলা চেয়ারপারসন হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়লাভের পর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় মইন-ফখরুদ্দীন সরকার ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে কারাবন্দি করে। সেবার কারাগারে প্রথম জন্মদিন কেটেছে তার। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এরপর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেও ব্যর্থ হয় তারা। এর মধ্যে গত বছরের ৮ ফেব্রম্নয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদন্ড হয় খালেদা জিয়ার। তাই গত বছরের জন্মদিনও কারাগারেই কাটাতে হয় বিএনপি প্রধানকে। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি মাত্র ৬টি আসন পেয়ে চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আছে। অন্যদিকে দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য বিএনপি বারবার দাবি জানালেও রাজপথে আন্দোলনের কঠোর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।