গ্রেপ্তারের পরদিনই তাসভীরের জামিন

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলায় সোমবার জামিন পেয়েছেন ভবনের অন্যমত মালিক তাসভীর-উল-ইসলাম
যাযাদি রিপোর্ট নকশা জালিয়াতির এক মামলায় গ্রেপ্তারের এক দিনের মধ্যে জামিন পেলেন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফআর টাওয়ারের অন্যতম মালিক কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর। সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ আসামি তাসভীরকে জামিন দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন রোববার তাসভীরকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। বিএনপি নেতা তাসভীরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। আসামির আইনজীবী শুনানিতে বলেন, 'ভবনটি নির্মাণ করেছিল রূপায়ন গ্রম্নপ। এর চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। ভবন নির্মাণে যদি ত্রম্নটি থাকে, তবে তার দায় মুকুলের।' এর বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, 'মামলার সবগুলো ধারার অভিযোগই এ আসামির বিরুদ্ধে সঠিক। দুর্নীতির দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারবেন না। জামিন পেলে তিনি মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাবেন।' উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আদেশ দেন। এই মামলার আরেক আসামি প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুককে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে দুদক। রূপায়ন গ্রম্নপের চেয়ারম্যান মুকুলও মামলার আসামি। নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক। দুদকের করা এক মামলায় রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়। তাসভীরের কোম্পানি ওই ভবনের ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিক। এই মামলার আসামির তালিকায় তাসভীর ছাড়াও এফআর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক, রূপায়ন গ্রম্নপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের নাম রয়েছে। রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কেএএম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন,সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকি, সহকারী অথোরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোলস্না ও অফিস সহকারী মো. এনামুল হককেও আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।