রপ্তানির জন্য ২ কার্গো পেস্নন কিনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সবজি চাষে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রচলিত কৃষির বাইরে বিদেশি জাতের বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল-ফুল চাষ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবজি রপ্তানির জন্য দুটি কার্গো পেস্নন কিনতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সভাকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ আদেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবজি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছি। এখন কার্গো পেস্নন কেনার সময় এসেছে। দুটি কার্গো কিনে ফেলেন। পরে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বিমানের অবস্থা ভালো। বিমান নিজের টাকা দিয়েই দুটি কার্গো পেস্নন কিনতে পারবে। একনেক সভায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ' \হপ্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় কার্গো পেস্নন কেনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবজি রপ্তানি করা হচ্ছে। এ কাজে আমরা কার্গো পেস্নন ভাড়া করছি। তাই, দুটি হিমায়িত কার্গো পেস্নন কেনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একনেক সভায় ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সভায় বিদু্যতের লাইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সব বিদু্যৎলাইন মাটির নিচে স্থাপন করতে হবে। এছাড়া, ৭১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে 'খুলনা কর ভবন নির্মাণ' প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, খুলনা লবণাক্ততা-প্রবণ এলাকা। এখানে ভবন নির্মাণের সময় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বড় সরকারি ভবনে 'ডে কেয়ার সেন্টার'র ব্যবস্থা করতে হবে। নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃষ্টির পানিতে ভাঙন রোধে পার্বত্য এলাকায় সড়কের উভয় পাশে চিকন বাঁশ রোপণ করতে হবে। নদীভাঙন রোধে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে জোর দিতে হবে। 'মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ' প্রকল্পটি সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে এক কর্মকর্তা গাফিলতি করেছিলেন উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্পের ভুল অ্যাসেসমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সড়ক নির্মাণের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে, বর্ষার সময় পানির প্রবাহ আটকে না থাকে।