সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১ সুপারিশ

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১টি সুপারিশ করেছে এ-সংক্রান্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সভাপতি সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি পরপর সাতটি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে এবং সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। প্রতিবেদনে ১১১টি সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদি ৩২টি এবং দীর্ঘমেয়াদি ২৯টি। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো উঠে এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়ক ও সড়কে চলাচলের পরিবেশ, অদক্ষ চালক, ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসতর্কতা, সড়ক নির্মাণে প্রকৌশলগত ত্রম্নটি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব পালনে অনীহা, যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারী তথা চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সবার অসচেতনতা, সড়কের পাশে বসবাসরত জনগণের অসচেতনতা ইত্যাদি। প্রতিবেদনে সুপারিশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও শিক্ষা, প্রচার-প্রচারণা, মহাসড়কের প্রকৌশলগত বিষয়াদি, কারিগরি দিক, রাস্তার ওপর বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তার দু'পাশে বৃক্ষরোপণ, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা/ইজারা, বাস স্টপেজ, বাস-বে, ডিভাইডার, লেন, লেভেল ক্রসিং, মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ, ঢাকা শহরের বাস ফ্র্যাঞ্চাইজিং, ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন ইত্যাদি। \হওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে এসব সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে। \হসুপারিশমালা বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবনা রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সাধারণত কমিটি গঠনের পর প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। তবে এটি তার ব্যতিক্রম। \হসভায় জানানো হয়, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১৯ ফেব্রম্নয়ারি ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে আরও আটজন সদস্যকে নির্বাচন করা হয় কমিটিতে।