জরিমানার সঙ্গে কারাদন্ডও পেলেন ভুয়া চিকিৎসক

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভুয়া পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করায় গত সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন মো. মোজাম্মেল হককে (৪২)। তবে এর পরও শোধরাননি তিনি। তিন দিনও পার হয়নি, একই অপরাধে আবারও লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হলো তাকে। শুধু জরিমানাই নয়, সঙ্গে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডও জুটেছে তার। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরের তরকারি বাজার এলাকায়। জরিমানা দেওয়া ভুয়া চিকিৎসক কেন্দুয়ার বহুলি গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে কেন্দুয়ার বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার খুলে রোগীদের চিকিৎসা জরিমানার সঙ্গে কারাদন্ড ও পেলেন ভুয়া চিকিৎসক করে আসছিলেন। তার ব্যবস্থাপত্র ও সাইনবোর্ডে এমবিবিএসসহ চক্ষু রোগের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক লেখা আছে। অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়ার রামপুর বাজারে তার চেম্বারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ লঙ্ঘনের অপরাধে মোজাম্মেলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালতের হাকিম ও কেন্দুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিরিন সুলতানা। কিন্তু এরপরও রোগী দেখা বন্ধ করেননি মোজাম্মেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়া মেডিকেল হল নামে একটি দোকানে আবারও অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাতেনাতে ধরে ফেলায় তিন দিনের ব্যবধানে তাকে আবারও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রহুল ইসলাম। আর্থিক জরিমানার সঙ্গে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডও দেওয়া হয়। ইউএনও আল ইমরান রহুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও মোজাম্মেল হক নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চেম্বার খুলে চোখের চিকিৎসা করে আসছিলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৮ (১) ও ২৯ (১) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে তাকে এই জরিমানা করা হয়।