সুন্দরবনে ১০ কিমির মধ্যে কারখানা করা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে কোনো শিল্পকারখানা স্থাপন করা যাবে না। শিল্প কারাখানা স্থাপনের জন্য কাউকে অনুমতি দেবে সরকার, আবার কাউকে দেবে না, এই বৈষম্য চলবে না বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। আদালতে আজ মামলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার। এর আগে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারিসহ নির্দেশনা দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কতগুলো শিল্পকারখানা রয়েছে সেই তথ্য প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সুন্দরবনের আশপাশে নতুন করে শিল্পকারখানা অনুমোদনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন হবে না এবং নির্মিত নতুন শিল্পকারখানা কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, ডেপুটি কমিশনার খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও খুলনার পুলিশ সুপারকে (এসপি) ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত এপ্রিলে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প-কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তা বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়। 'সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন'র সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদনটি দাখিল করেন।