বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানেরা নিজেদের পরিচয়ও দিতে পারে না : পলক

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন মানুষ যার জন্য জীবন দেয়াটাও গর্বের বিষয়। আর যারা তাকে হত্যা করেছে তারা ঘৃণিত। খুনিদের সন্তানেরাও মুখ ফুটে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে না। কেননা তাদের বাবার মধ্যে কারও ফাঁসি হয়েছে, কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। কারও কাছে মাথানত করেননি। স্কুলে থাকা অবস্থায় তিনি শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের পথ আটকিয়ে স্কুলের উন্নয়নের দাবি তুলেছিলেন। তেমনই ছাত্র আন্দোলন না হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে অধ্যয়নকালে কর্মচারীদের আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কাজেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ন্যায়ের পক্ষে। অন্যায়ের বিপক্ষে। 'সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট তাকে (বঙ্গবন্ধু) জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনার সবচেয়ে শক্তি কী? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, 'আই লাভ মাই পিপল'। ডেভিড ফ্রস্ট প্রশ্ন করেন- আপনার সবচেয়ে দুর্বলতা কী? তিনি বলেছিলেন, 'আই লাভ দেম টু মাচ।' পলক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত। একভাগ শোষিতের, আরেক ভাগ শাসকের। আমি শোষিতের পক্ষে। সেখানে অবস্থিত স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এ দেশীয় দোসরদের মাধ্যমে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। শুধু তাই নয়, আমরা যারা পঁচাত্তর পরবর্তীতে জন্মগ্রহণ করেছি, তাদের ভুল শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার যাতে না করা যায়, সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছিল। খুনিদের সরকারি চাকরি দিয়ে, রাজাকারদের বাংলাদেশে এনে পুনর্বাসিত করেছিল জিয়াউর রহমানের সরকার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নয়, তিনি বিশ্ববন্ধু। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জীবন দিয়ে হলেও স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আয়োজক বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমাতুলস্নাহ, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, আফরোজা জামিল কঙ্কা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।