যাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও উবার চালক

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় এক যাত্রীর ব্রিফকেসে থাকা ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা নিয়ে উধাও এক উবার চালক। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হদিস মিলছে না ওই চালকেরও। এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর দারুসসালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই ভুক্তভোগী। ওই ব্যক্তির নাম এম এম গোলাম শওকত। তিনি গুলশানে বসবাস করেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। জিডিতে তিনি উলেস্নখ করেন, ২১ আগস্ট গুলশান থেকে গাবতলী বাসটার্মিনালে \হযাওয়ার জন্য উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নেন। গাবতলীতে নেমে যান। তবে গাড়ির সামনে ড্রাইভারের বাম দিকে সিটে একটি ব্রিফকেস ছিল সেটি নিতে ভুলে যান তিনি। জিডিতে আরও উলেস্নখ করেন, ওই ব্রিফকেসে নগদ ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ছিল। ওই উবার চালককে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উবারে নিবন্ধন থাকা গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-৪১৭৮। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম শওকত বলেন, পারিবারিক কাজে টাকাগুলো এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ধার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ ছাড়াও জরুরি বেশ কিছু কাগজপত্র ছিল। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটির মালিক ৬ জন। ফারিহা এন্টারপ্রাইজ, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, নেপাল চন্দ্র দাস, সবুল মিস্ত্রি ও জামাল উদ্দিন। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, উবারের ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন। তার দুটি মোবাইল নম্বর থাকলেও তার নামে কোনো সিম নিবন্ধন ছিল না। তার পরিবারের এক নারীর পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি নিবন্ধন করেছিলেন তিনি। এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা দারুসসালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান বলেন, 'ঘটনার পর উবারের কাছে চালকের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা আজ রোববার চালকের ঠিকানা, এনআইডি, লাইসেন্সের কপি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের কাগজ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তদন্ত চলমান।' ঢাকায় উবারের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআরের কর্মকর্তা আশরাফ কাইছারের কাছে এ বিষয়ে জানতে দুবার ফোন দেয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।