ইসি ভবনে আগুনে ক্ষতি এক হাজার ইভিএমের

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান ভবনের বেসমেন্টে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি সরাচ্ছেন কর্মীরা -যাযাদি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেছেন, এতে অল্প ক্ষতি হয়েছে। আসন্ন রংপুর-৩ আসনের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ভোট করতে সমস্যা হবে না। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএমের সংখ্যা এক হাজারের কম হবে না বলে জানান তিনি। সোমবার দুপুরে ইসি ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান। এ সময় তার পাশে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মোখলেছুর রহমান বলেন, 'আপনারা জানেন, রোববার রাত ১১টার দিকে আমাদের বেসমেন্ট-১-এর বেশ কয়েকটি কক্ষের মধ্যে একটিতে আগুন লেগেছে। সেখানে আমাদের ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট আছে, মনিটর, ব্যালট ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ১২টি দল এখানে চলে আসে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তারা এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।' আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উলেস্নখ করতে গিয়ে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, 'আমি ভেতরে গিয়ে দেখলাম, সেখানে অল্প ক্ষতি হয়েছে। ভেতরে কয়েকটি এসি আছে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসির লাইন, বিদু্যতের ওয়ারিংগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইভিএম, বিশেষ করে ব্যালট ইউনিট, মনিটর-এগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কন্ট্রোল ইউনিট যেটা বেশি মূল্যবান, সেগুলো পাশের কক্ষে ছিল, সেগুলোর ক্ষতি হয়নি।' ইসি কর্মকর্তাদের ইভিএম মেশিন ক্ষতির পরিমাণ গণনা করে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা হিসাব করলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়া যাবে উলেস্নখ করে সচিব বলেন, 'সেখানে ইভিএম মেশিন ৫-৬ হাজারের মতো ছিল। আমার কাছে মনে হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ইভিএম মেশিন এক হাজারের কম হবে না।' তবে এক হাজার ইভিএম মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে পাশে থাকা এনআইডির ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, 'এত হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা যে পরিমাণ আশা করেছিলাম, সে রকম কোনো ক্ষতিই হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগণ্য হবে। আমি বলব, ফায়ার সার্ভিসের দ্রম্নত পদক্ষেপের জন্য এত বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেলাম।' রংপুর-৩ আসনের নির্বাচনে সমস্যা হবে না উলেস্নখ করে এনআইডির ডিজি বলেন, 'রংপুর সিটি করপোরেশনে ১৭৫টি কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য আমাদের যে ইভিএম কাস্টমাইজ (ব্যবহার) করা দরকার, সেটা আমরা বিস্তারিত বিশ্লেষণ করব। এরপর আমরা কমিশনের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করব। কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে এনআইডি উইংয়ের পক্ষ থেকে মনে হচ্ছে, ইভিএম ব্যবহার করতে পারব।' তিনি বলেন, 'যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা আগুন নেভাতে পানি স্প্রে করার কারণে হয়েছে। সেই পানি যাতে ব্যালটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।'