কুমিলস্নায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, রামদাসহ ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না কুমিলস্নায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাবুল মিয়া, এরশাদ মিয়া ও অলি মিয়া নামে ডাকাত দলের ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসিসহ পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমালস্না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, রামদাসহ ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার কোমালস্না গ্রামে রোববার রাত আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতি সংঘটিত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল- এমন খবরে ওই এলাকায় থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এতে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। খবর পেয়ে জেলা ডিবির এসআই সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এবং বুড়িচং থানা থেকে একটিসহ পুলিশের ২টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত দলের ৩ সদস্য আহত হয়। পরে আহত ডাকাতদের উদ্ধার করে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ডাকাতরা হচ্ছেন- জেলার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া (৪৩), দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল মিয়া ওরফে তরকারি বাবুল (৩৮), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ মিয়া ওরফে আছাদুল (২৭)। এ ঘটনায় বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই মোয়াজ্জেম, এসআই পুষ্পবরণ চাকমা, এএসআই গোলাম মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক আহত হন। বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১ রাউন্ড পিস্তলের গুলির খোসা, ১টি পাইপগান, ৫ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৪ রাউন্ড বন্দুকের খোসা, ৬টি কাঠের বাটযুক্ত ছোড়া, ১টি রামদাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ৫টিরও অধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।