বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ববির প্রশাসনিক ভবনে সাপ -যাযাদি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক। বর্ষা মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সাপ দেখতে পাওয়া যায় প্রতি বছর। এটা নতুন কিছু নয়। তবে শুক্রবার সকালে প্রশাসনিক ভবন ২-এর নিচতলায় একটি সাড়ে তিন হাতের মতো লম্বা সাপ দেখার পর বেড়েছে আতঙ্ক। সাপটির ছবি প্রত্যক্ষদর্শীরা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা বিভিন্ন পেজ ও গ্রম্নপে পোস্ট করেছেন। যে ছবিতে সাপটিকে চলে যেতে যেতে ফণা তুলতেও দেখা গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি একটি বিষধর সাপ, যাকে স্থানীয়ভাবে কালিজাত সাপও বলা হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনের বেলা এ সাপ দেখা যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরও বর্ষার সময় ক্যাম্পাসে সাপ দেখা যায়। কিন্তু এ বছর সাপের উপদ্রব গতবারের চেয়ে বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে জঙ্গল ও জলাশয় পরিষ্কার না করাকে দায়ী করছেন। মোটামুটি বড় আকৃতির সাপটিকে সামনে থেকে দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'ক্লাস থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার সময় প্রশাসনিক ভবন ২-এর দিকে যাচ্ছিলাম। ভবনের নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে হঠাৎ করে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সাপটি যেতে দেখি। এতবড় সাপ দেখে ভয় পেয়ে যাই। সাপটি যাওয়ার সময় কিছুটা ফণাও তুলেছে, ভয় পেয়ে আর বেশি কিছু করতে যাইনি।' এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, সাপের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় বড় হয়ে গেছে, জলাশয় ও ঝোপঝাড় দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। আর বর্ষার এ সময়টাতে গর্তে পানি থাকার কারণেই হয়ত সাপগুলো বাইরে বের হয়ে আসছে। তিনি জানান, আগের সাপগুলো আকারে ছোট হলেও শুক্রবার যে সাপটি দেখা গেছে তা আকারে অনেক বড়। এর আগে ক্যাম্পাসের রাস্তায় সাপ দেখা গেছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিদ্রম্নত জলাশয় ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার পাশাপাশি সাপের উপদ্রব বন্ধে কার্যকর ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেয়া উচিত। এদিকে ক্যাম্পাস খুললে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, সাপের বিষয়টি তারা জেনেছেন, যত দ্রম্নত সম্ভব এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ক্লিনিং বা পরিষ্কার করার কর্মসূচি প্রতিনিয়ত চলছে। তবে বর্ষায় ঝোপঝাড় বড় হতে পারে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।