সালাহউদ্দিনের নামের দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বদলের উদ্যোগ

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুরে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত ও তার নামে থাকা দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সিদ্ধান্তে নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও মূলত রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি বিএনপির। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকা ৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। সে সময় এই নির্বাচনী এলাকায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৩ নং ওয়ার্ডের ১৪০৯/৩ পূর্ব জুরাইনে সালাহউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৬৪ নং ওয়ার্ডের ২৮৬, মোমেনবাগ পাড়াডগার যাত্রাবাড়ী ঢাকা অবস্থিত সালাহউদ্দিন আহমেদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নামকরণ হয়। বিদ্যালয় দুটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর যাবতীয় উন্নয়নে সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় নাম পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট দুই প্রতিষ্ঠানের দুটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। যাতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৩ নং ওয়ার্ডের ১৪০৯/৩ পূর্ব জুরাইন, অবস্থিত সালাহউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব জুরাইন-শ্যামপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় করার জন্য ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৪ নং ওয়ার্ডের ২৮৬, মোমেনবাগ পাড়াডগার যাত্রাবাড়ী ঢাকা অবস্থিত সালাহউদ্দিন আহমেদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নাম পরিবর্তন করে পাড়াডগার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামকরণের জন্য ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সালাহউদ্দিন আহমেদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কোনো ম্যানেজিং কমিটিই নেই। আর সালাহউদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি থাকলেও শিক্ষকদের চাপ দেয়া হয়েছে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকার জন্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুল দুটির একাধিক শিক্ষক জানান, গত এক যুগের বেশি সময় ধরে বিএনপি ক্ষমতায় না থাকার কারণে প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সালাহউদ্দিন আহমেদের নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকতে তাদের চাপ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চাকরি বাঁচাতে হলে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে থাকতে হবে। এছাড়া এই নামে থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা যাবে না। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামের জাতীয় অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের নাম মুছে ফেলার পরে এবার তার অনুসারীদের নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজর পড়েছে ক্ষমতাসীনদের। শুধু রাজনৈতিক কারণে এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। \হ