আইওএমর সেমিনারে তথ্য

দুই বছরে ৪২০ রোহিঙ্গা পাচার

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করেই মানবপাচার সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপদ অভিবাসন, বেকার সমস্যার সমাধানসহ সামাজিক সচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বাংলাদেশ থেকে সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার এলাকা থেকে ৪২০ জন রোহিঙ্গা পাচার হয়েছে। রোববার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করে আইওএম। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনসু্যলার ব্রেন্ট ক্রিসেন্সেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। কর্মশালার ধারণাপত্রে উলেস্নখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও ইতোমধ্যেই কক্সবাজার এলাকা থেকে ৪২০ জন রোহিঙ্গা পাচার হয়েছে। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দিয়ে মানব পাচার প্রতিরোধে আমরা আরও ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করছি। তিনি বলেন, অভিবাসন ও মানব পাচার দু'টো পুরোপুরি আলাদা বিষয়। আমরা মানব পাচারের বিরুদ্ধে, তবে নিরাপদ অভিবাসনের পক্ষে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায়, আমরা স্বাগত জানাই। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে জাতিসংঘ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। কর্মসংস্থানের অভাব এবং অভিবাসনের উচ্চ ব্যয়ের ধাক্কা থেকে অনিয়মিত স্থানান্তর হয়; তারা পাচারের শিকারও হয়। সেমিনারে উঠে আসে, বাংলাদেশের মতো বেশি মানব পাচার হওয়া দেশগুলোতে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করেই এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপদ অভিবাসন, বেকার সমস্যার সমাধানসহ সামাজিক সচেতনতার উপর জোর দেয়া হয়। ২০১৭ সালে প্রাথমিক তদন্তে ৭৭০ জন মানব পাচারের শিকার হয়েছে। দেশের পুলিশ নথিভুক্ত করেছে ৭৭৮টি মানব পাচার মামলা। উদ্ধার করা হয়েছে ৫৪৬ জনকে, যাদের ১৫২ জন ছিলেন নারী ও ৯১ জন শিশু। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইওএম'র আঞ্চলিক অভিবাসন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জোনাথন মার্টেন্স, আইওএম'র বাংলাদেশ মিশন প্রধান জর্জ গিগৌরি প্রমুখ।