নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মেট্রোরেলের জন্য আলাদা পুলিশের ইউনিট হবে

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মেট্রোরেলের নির্মাণযজ্ঞ
যাযাদি রিপোর্ট মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সোমবার গণভবনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় এই নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। "মেট্রোরেলের সিকিউরিটির জন্য মেট্রোরেল পুলিশ থাকবে। তাদের ট্রেনিং দিতে হবে," বলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান মিয়াকে নতুন এই ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করেছেন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৩০.০৫ শতাংশ। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ৪৬.০০ শতাংশ। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ২৩.৫০ শতাংশ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল সিস্টেম ও রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ১৯.৮৭ শতাংশ। ঢাকা ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে আধুনিক গণপরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালের ৩ জুন ডিএমটিসিএল গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা নেয় সরকার। এর মধ্যে এমআরটি-৬ এ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় ধরা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরে তা এগিয়ে আনা হয় বলে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপ উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে এ বছরের শেষ নাগাদ ট্রেন চালুর আশা প্রকাশ করছেন সরকারের কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় ধাপ আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে গত অক্টোবরে বলেছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাইকার একটি প্রতিনিধি দল গত ফেব্রম্নয়ারিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের \হসঙ্গে সাক্ষাতে এমআরটি-৬ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছিলেন। গণভবনে সোমবারের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।