ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে না আওয়ামী লীগ: খালিদ

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার বিশ্ব নদী দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সদরঘাট টার্মিনালের সন্ধানী জাহাজে 'নদীর আইনি অধিকার নিশ্চিত করুন' শীর্ষক ভাসমান সভায় একথা বলে প্রতিমন্ত্রী। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর এ সভার আয়োজন করে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করলে কী হয় সেটা জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় টের পেয়েছি। কাজেই ক্ষমতা দখলের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। আমরা সেখান থেকে সরে আছি।' তিনি বলেন, 'প্রত্যেকটা বিষয়ের টার্নিং পয়েন্ট থাকে। নদী নিয়ে কিছু করার টার্নিং পয়েন্ট বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। এটাকে যদি এই মুহূর্তে কাজে না লাগাই, এটা যদি হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে আমরা আর এটা কখনো পারব না। নদী এত বেশি দখল হয়ে গেছে, এখন এটা উদ্ধার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসন, সেই শাসনের কাছ থেকে নদীও রক্ষা পায়নি।' প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দল-মত নির্বিশেষে সবাই মিলে নদী দখলমুক্ত করতে হবে। সরকার চারটি নদীকে ঘিরে পদক্ষেপ নিয়েছে, সমাজের সবাই এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। মিডিয়া ভ্যানগার্ডের মত ছিল। যারা দখলের রাজনীতি করেন, তারা কিন্তু এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। এটা দুর্ভাগ্য, কারণ এটা নিয়ে প্রশংসা করলে সরকারের পক্ষে চলে যাবে এ কারণে তারা কিছু বলেন না। তারা তো ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতি করেন।' খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে নদীর দিকে কোনো দৃষ্টি দেয়নি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে হত্যার প্রচেষ্টায় নদীসহ সবকিছু এলোমেলো করে দেয়া হয়। জিয়া, এরশাদ নদীর প্রতি যত্ন নেননি। অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে তারা যেভাবে যুব সমাজকে কলুষিত করছিলেন, ঠিক তেমনি নদীকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিআইডবিস্নউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ব্যারিস্টার ফারজানা আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মারুফ, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক জ ই মামুন, টিভি উপস্থাপক মোশারফ হোসেন, পরিবেশবিদ এজাজ আহমেদ এবং নোঙরের সভাপতি সুমন শামস প্রমুখ।